কাজী বাহাউদ্দিন আহমেদ পাসপোর্ট ও বহির্বিভাগ অধিদপ্তরের সাবেক মহাপরিচালক, বিশিষ্ট সমাজসেবক, ভাষাসংগ্রামী, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সংগঠক। ১৯২৬ সালের ১০ মে বরিশাল শহরে ফকিরবাড়ি রোডে জন্মগ্রহণ করেন। পিতা কাজী গিয়াসউদ্দিন আহমেদ ও মাতা বেগম লতিফুন্নেসা। বরিশাল জিলা স্কুল থেকে ১৯৪১ সালে ম্যাট্রিক, ব্রজমোহন কলেজ থেকে ১৯৪৩ সালে ইন্টারমিডিয়েট এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিন ১৯৪৫ সালে বিএ ও ১৯৫৬ সালে এলএলবি ডিগ্রি লাভ করেন। ছাত্রজীবনে ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন। ১৯৪৪ সালে বরিশাল জেলা বঙ্গীয় মুসলিম ছাত্রলীগের সভাপতি মনোনীত হন। ১৯৪৮ সালে বরিশালে ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দেন। ১৯৪৯ সালে জেলা আওয়ামী মুসলিম লীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৫১ সালে পাসপোর্ট ও বহির্বিভাগ অধিদপ্তরে চাকরিতে যোগ দেন। ১৯৮১ সালে থেকে মহাপরিচালকের দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮৬ সালে চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কল্যাণট্রাস্টের সদস্য, জাতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ডের অনারারি ট্রেজারার ও চেয়ারম্যান ছিলেন। ঢাকাস্থ বরিশাল বিভাগ সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি এবং বরিশাল জেলা সমিতির প্রধান পৃষ্টপোষক। ১৯৯৯ সালে সমাজসেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ‘বরিশাল জেলা সমিতি পদক’ (মরনোত্তর) লাভ করেন। এছাড়া অনেকগুলো পুরস্কার ও সম্মানে ভ‚ষিত হন। ১৯৯৮ সালের ২ অক্টোবর মৃত্যুবরণ করেন।
বরিশাল জেলা সমিতির গঠনতন্ত্রের ধারা-১৬ মোতাবেক ‘বিশিষ্ট নাগরিককে বরিশাল
জেলা সমিতির স্থায়ী পৃষ্ঠপোষক মনোনয়ন করা যাবে। জন্ম ও বাসস্থান নির্বিশেষে
যেকোনো ব্যক্তি নির্বাহী পরিষদ কর্তৃক ধার্যকৃত পরিমাণ অর্থ এককালীন শর্তহীন
অনুদান হিসেবে প্রদান করিলে তাহাকে স্থায়ীভাবে পৃষ্ঠপোষক মনোনীত করা যাইতে
পারে।’ পৃষ্ঠপোষক মনোনয়নের ব্যাপারে নির্বাহী পরিষদের সিদ্ধান্তই চ‚ড়ান্ত বলিয়া গণ্য
হইবে। পৃষ্ঠপোষকদের পদমর্যদাপূর্ণ ও আলংকারিক। সমিতির বিশেষ বিশেষ অনুষ্ঠানে
পৃষ্ঠপোষকবৃন্দকে আমন্ত্রণ জানানো হইবে।
বরিশাল জেলা সমিতির স্থায়ী পৃষ্ঠপোষক সদস অনুদান ১৯৯৫ সালে ধার্য করা হয়
কমপক্ষে ২৫,০০০/- টাকা। এবং পরবর্তীতে ১৯৯৭ সালে ধার্য করা হয় কমপক্ষে
৫০,০০০/- টাকা।
১) সাবেক রাষ্ট্রপত আদুর রহমান বিশ্বাস ১৯৯৫ সালে বরিশাল জেলা সমিতিকে
অনুদান প্রদান করেন ২৫,০০০/- টাকা। পরবর্তীতে প্রদান করেন ৫০,০০০/-হাজার
টাকা।
২) বিশিষ্ট ব্যবসায়ী প্রকৌশলী আমিনুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রজেক্ট বিল্ডার্স
লিঃ ১৯৯৫ সালে সমিতির স্থায়ী পৃষ্ঠপোষক সদস্য পদের অনুদান বাবদ এককালীন
২৫,০০০/-টাকা প্রদান করেন ।
৩) বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সৈয়দ মোস্তাফিজুর রহমান, চেয়ারম্যান, নভো গ্রæপ লিঃ ১৯৯৫
সালে সমিতির স্থায়ী পৃষ্ঠপোষক সদস্য পদের অনুদান বাবদ এককালীন ২৫,০০০/- টাকা
প্রদান করেন।
৪) বিশিষ্ট শিল্পপতি খন্দকার তরিকুল ইসলাম রুকু, ব্যাবস্থাপনা পরিচালক, মেডিমেট
ফার্মাসিউটিক্যালস লিঃ ১৯৯৫ সালে সমিতির স্থায়ী পৃষ্ঠপোষক সদস্য পদের অনুদান বাবদ
এককালীন ২৫,০০০/-টাকা প্রদান করেন।
৫) বিশিষ্ট শিল্পপতি মোহাম্মদ আবুল কালাম, চেয়ারম্যান এক্সসিয়ার গ্রæপ লিঃ ১৯৯৭
সালে সমিতির স্থায়ী পৃষ্ঠপোষক সদস্য পদের অনুদান বাবদ এককালীন
৫০,০০,০০০/-টাকা প্রদান করেন।
৬) সাবেক প্রতিমন্তী এ.কে.এম. ফায়জুল হক ১৯৯৭ সালে সমিতির স্থায়ী পৃষ্ঠপোষক
সদস্য পদের অনুদান বাবদ এককালীন ৫০,০০০/-টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে
২০০০ সালে সমিতির স্থায়ী বৃত্তি প্রকল্পে ১,০০,০০০/- টাকা প্রদান করেন।
৭) বিশিষ্ট শিল্পপতি এ.কে.এম. আজিজুর রহমান খান, চেয়ারম্যান, খানসন্স গ্রæপ লিঃ
১৯৯৯ সালে সমিতির স্থায়ী পৃষ্ঠপোষক সদস্য পদের অনুদান বাবদ এককালীন
৫০,০০০/-টাকা প্রদান করেন। পরবর্তীতে ২০০৮ সালে সমিতির স্থায়ী ঠিকানা
বাস্তবায়নে ১০,০০,০০০/- টাকা প্রদান করেন।
৮) বিশিষ্ট শিল্পপতি আলহাজ মোঃ শামসুর রহমান, ব্যবস্থাপনা পরিচালক, বে- টেনারী
লিঃ ২০০৪ সালে সমিতির স্থায়ী পৃষ্ঠপোষক সদস্য পদের অনুদান বাবদ এককালীন
৫০,০০০/-টাকা প্রদান করেন।
৯) সাবেক সংসদ ব্রিঃ জেঃ (অবঃ) আনোয়ার হোসেন চৌধুরী ২০০৫ সালে সমিতির
স্থায়ী পৃষ্ঠপোষক সদস্য পদের অনুদান বাবদ এককালীন ৫০,০০০/-টাকা প্রদান
করেন।
১০) বিশিষ্ট সমাজসেবক শরফুদ্দিন আহম্মেদ সান্টু ২০০৯ সালে সমিতির স্থায়ী ঠিকানা
বাস্তবায়নে এককালীন ৬,০০,০০০/-টাকা বিশেষ অনুদান প্রদান করেন। এককালীন
এই বিশেষ অনুদান প্রদানের জন্য সমিতি তাকে স্থায়ী পৃষ্ঠপোষক সদস্য করে।