স্বাধীনতার পর ১৯৭৩ সালে ঢাকায় প্রবাসী বরিশালবাসীর উদ্যোগে ‘বাকেরগঞ্জ-পটুয়াখালী জেলা সমিতি’ গঠিত হয়। সমিতির প্রতিষ্ঠাতাকালীন সভপতি নির্বাচিত হন জনাব কাজী বাহাউদ্দিন আহমেদ।
১৯৮৪ সালে বাকেরগঞ্জ জেলা বিভক্ত হয়ে ভোলা, ঝালকাঠী ও পিরোজপুর নতুন জেলা এবং পটুয়াখালী জেলা বিভক্ত হয়ে বরগুনা জেলা গঠিত হয় এবং নতুন জেলা সৃষ্টি হলে সমিতি’র নাম
পরিবর্তন করে ‘বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ-পটুয়াখালী সমিতি’ নামকরণ করা হয়। এসময় বৃহত্তর বরিশালের নতুন জেলাগুলো নিজ নিজ জেলা সমিতি গঠনে উদ্যোগী হয়ে ওঠে।
ঢাকায় বৃহত্তর বরিশালের সবকটি নতুন জেলা সমিতি গঠিত হলেও ‘বাকেরগজ্ঞ জেলা সমিতি’ গঠিত হয়নি। ১৯৮৮ সালের ১৮ আগস্ট কয়েকজন সক্রিয় উদ্যোগতার উদ্যোগে বাকেরগঞ্জ জেলা সমিতি গঠিত হয়।
২৩ জহুরা ম্যানশন, বাংলামটর, ঢাকায়, বৃহত্তর বাকেরগঞ্জ পটুয়াখালী সমিতির কার্যালয়, যথারীতি বাকেরগঞ্জ জেলা সমিতি গঠনের প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়। দৈনিক পত্রিকায় প্রেস বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সভা আহব্বান করা হয়।
পত্রিকার সংবাদ পড়ে অনেকে সভায় উপস্থিত হন। সভায় সভাপতিত্ব করেন বয়সে প্রবীন বরিশাল শহরের বটতলার বাসিন্দা লন্ডন প্রবাসী সৈয়দ আহম্মদ হোসেন সাহেব । । সভায় ঢাকায় প্রবাসী বরিশাল জেলাবাসীর সঙ্গে পরিচয়,
পারস্পরিক সম্প্রীতি ও ভ্রাতৃ ত্ববোধ সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি সংগঠণ বা সমিতি গঠনের প্রস্তাব করা হয়। জেলা গেজেটে দাপ্তরিক নাম ‘বাকেরগঞ্জ’ হওয়ায় জেলা সমিতির নাম ‘বাকেরগঞ্জ জেলা সমিতি’ নামকরণের প্রস্তাব করা হলে সর্বসম্মতিক্রমে
প্রস্তাব অনুমেদিত হয়। সমিতি পরিচালনার জন্য ৯ সদস্যের একটি ্আহ্বায়ক কমিটি গঠিত হয়। সভাপতি নির্বাচিত হন বিশিষ্ট সমাজসেবক নুরুল ইসলাম খান (এন.আই. খান) সুলতান এবং সাধারণ সম্পাদক এ্ডভোকেট বেলায়েত হোসাইন সিকদার।
সহসভাপতি সিরাজ উদ্দিন আহমেদ, যুগ্মসম্পাদক আ.ব.ম. মহিউদ্দীন খান চৌধুরী এবং নূরুল আমিন তালুকদার নান্নু, অর্থ সম্পাদক মোঃ আবদুল কাদের, নির্বাহী সদস্য এডভোকেট জয়নুল আবেদীন, সৈয়দ আহম্মেদ হোসেন এবং কে এম সায়েম।